আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংবাদ মাধ্যম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ জনগণকে সচেতন করতে সরকার বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও কিছুতেই যেন জনগণকে ঘরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। মানুষ নিজে থেকে সচেতন না-হলে প্রাণঘাতী এ করোনা ভাইরাসকে কোনোভাবেই রোখা সম্ভব হবে না। জীবন ও জীবিকার স্বার্থে কতকাল এ পরিস্থিতিতে মানুষ আটকে থাকবে তা-ও একটি চিন্তার বিষয়। যেহেতু বৈশ্বিক এ মহামারিকে মেনে নিয়েই বিশ্ব অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে উন্নত দেশগুলো নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তাই সুপরিকল্পিকভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেইসাথে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি যাতে অবনতির দিকে না-যায় সে বিষয়টিও অবশ্যই ভাবতে হবে। যেহেতু আগামী ১০ মে থেকে মার্কেট ও শপিংমলগুলো খুলছে, সুতরাং জনতার ভিড়ে রাস্তা-ঘাট, মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে সামাজিক দূরত্ব কতটা যে মানা সম্ভব হবে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।
যদিও মার্কেট ও শপিংমল এর মালিকগণ চাইলে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারবেন। তারপরেও যারা খুলতে চান তারা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারের স্বাস্থ্যবিধির সব নিয়ম-নীতি মেনেই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখেন সেই ব্যাপারে সরকারকে অবশ্যই অনড় অবস্থানে থাকবে হবে। দেশের বড় শহরগুলোর পাশাপাশি প্রতিটি জেলা শহরেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। কিন্তু বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। সামনে দিনগুলোতে যদি এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে আমাদের ভবিষ্যত দিনগুলো সুখকর না-ও হতে পারে।